আজ ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

সিডিএর নতুন চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ


অনলাইন ডেস্কঃ অবশেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছকে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়ে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বুধবার (২৪ এপ্রিল) প্রজ্ঞাপনটি জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির এই সদস্য সিডিএর বর্তমান চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলমের দোভাষের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

চট্টগ্রামের রাজনীতিতে প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ঘনিষ্ট হিসাবে পরিচিত মোহাম্মদ ইউনুছ চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে উপসচিব ভাস্কর দেবনাথ সাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন থেকে জানা গেছে, ‘চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৮ এর ধারা-৭ অনুযায়ী মোহাম্মদ ইউনুছকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী তিন বছর মেয়াদে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ প্রদান করা হলো। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনস্বার্থে এ অফিস আদেশ জারি করা হলো।’

আরও পড়ুন সিডিএর প্রকল্পে ধীরগতি, বর্ষায় ফের জলাবদ্ধতার আশঙ্কা মেয়রের

সিডিএর চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, ‘এইমাত্র আমি প্রজ্ঞাপন পেয়েছি। আমি চট্টগ্রামবাসীর কাছে দোয়া ও সহযোগিতা চাই। আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। শুক্রবার চট্টগ্রাম এসে আপনাদের সাথে কথা বলব।’

২০০৯ সাল থেকে সরকার সিডিএ চেয়ারম্যান পদে রাজনৈতিক নিয়োগ দিয়ে আসছে। সেবার প্রথম সিডিএ চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও বর্তমানে বোয়ালখালী-চান্দগাঁও আসনের সংসদ সদস্য আবদুচ ছালামকে। টানা ১০ বছর চেয়ারম্যান ছিলেন আবদুচ ছালাম। এরপর ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জহিরুল আলম দোভাষ চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর আবারও ২০২১ সালের ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় মেয়াদে তিন বছরের জন্য নিয়োগ পান তিনি।

প্রসঙ্গত, জহিরুল আলম দোভাষের মেয়াদ শেষ হওয়ার দিন যত ঘনিয়ে আসছিলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুক) ও গণমাধ্যমে তত জল্পনা কল্পনা বাড়ছিলো। ঈদের আগে থেকে নয়া চেয়ারম্যান কে হচ্ছেন, তা নিয়ে উড়ো খবর-গুজবও হচ্ছিলো। দায়িত্বশীলদের অনেকে বলছিলেন, খোরশেদ আলম সুজন, কেউ বলছিলেন মফিজ আহমদের কথা। অবশেষে প্রজ্ঞাপন জারি হয়ে সেসব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটলো।

তথ্যসুত্র: সংগৃহীত


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর